ওয়েব সাইটের কাঠামো (Website Stracture)
একটি ওয়েব সাইটের মধ্যে অনেক ওয়েব পেইজ থাকতে পারে। ওয়েব সাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেইজগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে, ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেইজ আসবে, সেখান থেকে অন্যান্য পেইজে কীভাবে যাওয়া যাবে; এই সকল বিষয়সমূহ ওয়েব সাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়। একটি ওয়েব সাইটের কাঠামো মূলতঃ
তিনটি উপাদান নিয়ে গঠিত হয়। যথা-
১। লেআউট টেমপ্লেট (layout templates)
২। ইউআরএল প্যাটার্ন (URL patterns) ও
৩। লিংকেজ স্ট্রাকচার (linkage structure)।
লেআউট টেমপ্লেট (layout templates):
ওয়েব পেইজ লে আউট টেমপ্লেট বলতে সাধারণত কোন ওয়েব পেইজ যখন কোন ব্রাউজারে প্রদর্শিত হবে তখন তাতে তথ্য কীভাবে সজ্জিত থাকবে তাকে বুঝায়। বিভিন্ন লেখা বা টেক্সট, ড্রয়িং, চিত্র বা ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি ওয়েব পেইজে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দনভাবে উপস্থাপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের লে আউট টেমপ্লেট তৈরি করা হয়।
ডায়নামিক ওয়েবসাইট তুলনামূলক কম নিরাপদ কারণ এখানে। উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়। যেমন: ই-কমার্স বা অনলাইন আবেদনের সাইট, ফেসবুক ইত্যাদি।
এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে PHP, Perl, ASP, Net, Java Script ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ তুলনামূলক জটিল।
ডায়নামিক ওয়েবসাইট উন্নয়নে খরচ বেশি হয়।
একটি ওয়েব সাইটের মধ্যে অনেক ওয়েব পেইজ থাকতে পারে। ওয়েব সাইটের অন্তর্গত বিভিন্ন পেইজগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে, ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেইজ আসবে, সেখান থেকে অন্যান্য পেইজে কীভাবে যাওয়া যাবে; এই সকল বিষয়সমূহ ওয়েব সাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়। একটি ওয়েব সাইটের কাঠামো মূলতঃ
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওয়েব পেইজে তাদের লগো (Logo), ব্যানার, শ্লোগান ইত্যাদি সর্বদা প্রদর্শিত হবে। এগুলো প্রতিটি পেইজের শুরুতেই থাকবে নাকি অন্য কোথাও থাকবে? ওয়েব পেইজ লে আউটে এ সকল বিষয় নির্ধারিত হয়ে থাকে। ওয়েব ডিজাইনার প্রথমে কাগজে কলমে ওয়েব পেইজের একটি নকশা বা ড্রয়িং তৈরি করেন। এই নকশা চূড়ান্ত হলে এইচটিএমএল (HTML) ও অন্যান্য সফটওয়্যার টুল ব্যবহার করে ওয়েব পেইজ তৈরি করেন। নান্দনিক ডিজাইন ওয়েব পেইজের ভিজিটর বা দর্শকদের তথ্য আহরণ সহজ করে দেয় ও অনেক ক্ষেত্রে ভিজিটরের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেয়।
ইউআরএল প্যাটার্ন (URL patterns):
কোন পাতায় ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী বা ভিজিটর প্রথম অবতরণ করবেন অথবা কোন পেইজটি হোমপেইজ হবে, কোন পাতা সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত হবে, ওয়েব সার্ভারের কোন ফোল্ডারে এইচটিএমএল ফাইলগুলো রাখা হবে ইত্যাদি ওয়েব হোস্টিং সংক্রান্ত কারিগরি বিষয়গুলো ইউআরএল প্যাটার্নে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
সাধারণতঃ ওয়েব সার্ভারের মূলে বা রুটে অবস্থিত public_htm নামক ফোল্ডারের অভ্যন্তরে অথবা www বা htdocs নামক ফোল্ডারে ওয়েব পেইজগুলো সংরক্ষিত থাকে। ওয়েব সার্ভার ইন্সটল ও কনফিগার করার সময় কোনটি পাবলিক ফোল্ডার হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। সাধারণভাবে ওয়েবসাইটের হোম পেইজ বা ভিজিটরের প্রথম অবতরণ করার পেইজ হলো index.html বা index.htm। তবে এটিরও পরিবর্তন করা যেতে পারে। ওয়েব সাইটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যাবলীও এই পেইজের মধ্যেই লিপিবদ্ধ থাকে।
পেইজ লিংকেজ স্ট্রাকচার (linkage structure):
ওয়েবসাইটের বৈশিষ্ট অনুযায়ী উহার বিভিন্ন পেইজগুলোকে নিম্নোক্ত চার ভাবে সাজানো যায়। যথা-
১. ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল (Hierarchical)
২. ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক (Network)
৩. সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার (Linear)
৪. হাইব্রিড বা কম্বিনেশন (Combination)
ট্রি বা হায়ারারকিক্যাল (Hierarchical)
ট্রি বা হায়ারার্কিক্যাল ওয়েব সাইট কাঠামোতে ব্যবহারকারী হোম পেইজে ল্যান্ড করে। হোম পেইজে সাব মেনু ও অন্যান্য পেইজের লিংক থাকে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা যায় যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটররা সহজেই বুঝতে পারে কোন অংশে তার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো রয়েছে। এই পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন শাখাগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে লিংক করা হয়ে থাকে।
ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক (Network)
এখানে সবগুলো পেইজেরই একে অপরের সাথে লিংক থাকে অর্থাৎ একটি মেইন পেইজের সাথে যেভাবে অন্যান্য পেইজের যেমন লিংক থাকে ঠিক তেমনি অন্যান্য পেইজের সাথেও মেইন পেইজের লিংক থাকে। ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরি করা ওয়েবপেজগুলো এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে লিংক করা হয়ে থাকে যাতে একটি ফ্রেমের মধ্যে অন্যান্য পেইজের লিংকগুলি মেন্যু আকারে রাখা হয়। এই ফ্রেমটি সাধারণত স্থির থাকে এবং কোন একটি লিংক নির্বাচন করলে ঐ পেইজটি অপেক্ষাকৃত বড় ফ্রেমের মধ্যে দেখায়।
সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার (Linear)
যখন কোন একটি ওয়েবসাইটের পেইজগুলো নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে ভিজিট করার প্রয়োজন হয় তখন সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়। কোন পেইজের পর কোন পেইজ আসবে তা ওয়েব টেকনোলজি ডিজাইন করার সময় ঠিক করা হয়ে থাকে। এই ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, Previous, Last, First ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়।
হাইব্রিড বা কম্বিনেশন (Combination)
যখন একাধিক স্ট্রাকচার ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয় তখন তাকে Combination স্ট্রাকচার বলে। শুধুমাত্র হায়ারারকিক্যাল স্ট্রাকচার ব্যবহার করলে ওয়েবসাইট খুব সুন্দর হয় না এবং শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক স্ট্রাকচার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ডিস্কস্পেস প্রয়োজন হয়। তাই একাধিক স্ট্রাকচার ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি ভিজিটরদের জন্য ভিজিট করাও সহজতর হয়।