ওয়েব ডিজাইনের ধারণা (Concept of web page design)
ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা লাভ করার জন্য প্রথমেই ওয়েব পেজ (Web page), ওয়েব সাইট (Website) আইপি অ্যাড্রেস, ডোমেন নেইম এবং ওয়েব ব্রাউজার ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
1.ওয়েব পেজ (Web page)
ওয়েব পেজ হলো এক ধরনের ওয়েব ডকুমেন্ট যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web-WWW) ও ইন্টারনেট ব্রাউজারে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ফাইলকে Web page বলে। ওয়েব পেজ সাধারণত এইচটিএমএল (HTML) দ্বারা তৈরি করা হয়।
ওয়েব পেজের বিষয়বস্তু: ওয়েব পেজে টেক্সট বা লেখা, ছবি, গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডেটা ফাইল, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি এবং অন্য কোন পেজের লিংক থাকতে পারে।
2.ওয়েব সাইট (Web site)
ইন্টারনেটের সাথে যথাযথভাবে সংযুক্ত কোন কম্পিউটারের বরাদ্দকৃত স্পেস বা লোকেশন যাতে এক বা একাধিক ওয়েব পেজ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাহাই হলো ওয়েবসাইট। অনলাইন তথ্য ভান্ডার উইকিপিডিয়া অনুসারে-
"A website, also written as web site, or simply site, is a set of related web pages served from a single web domain. A website is hosted on at least one web server, accessible via a network such as the Internet or a private local area network through an Internet address known as a Uniform Resource Locator."
অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনুসারে ওয়েবসাইট হলো-
"a location connected to the Internet that maintains one or more web pages."
আর World Wide Web (WWW) হলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা পরস্পরে সংযোগযোগ্য Web page যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখা যায়। ইন্টারনেটে ব্যবহারযোগ্য এই সকল ওয়েব পেজকে সাধারণত HTML ল্যাংগুয়েজ দ্বারা লেখা হয়।
3.আইপি অ্যাড্রেস (IP Address)
বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নিজের পরিচয়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নাম আছে। এক নামে এক গ্রামে বা এক দেশে
একাধিক লোক থাকতে পারে, কিন্তু প্রত্যেক মানুষের জন্যই আলাদা-আলাদা ঠিকানা থাকে। টেলিফোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফোন সেটের জন্য যেমন একটি নম্বর আছে ঠিক তেমনি ইন্টারনেটে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি আইডেন্টিটি থাকে যা IP (Internet Protocol) অ্যাড্রেস নামে পরিচিত।
IPV4 -
IPV4 সিস্টেমে প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য মোট চারটি অকটেট (৮ বিটের বাইনারি) সংখ্যা প্রয়োজন। কাজেই সম্পূর্ণ ঠিকানা প্রকাশের জন্য ৩২বিট প্রয়োজন। প্রতিটি অকটেট ডট (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। নেটওয়ার্কের শ্রেণিভেদে আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম থেকে তিনটি অকটেট পর্যন্ত নেটওয়ার্ক আইডি হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং বাকি অকটেট হোস্ট আইডি প্রকাশ করে। এখানে উল্লেখ্য যে, নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ডিভাইসের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কের শ্রেণিবিভাগ করা হয়।
IPV6-
আইপি অ্যাড্রেসের এই ভার্সনে ৮টি ভাগ থাকে এবং প্রতি ভাগ 16 bit এর হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ১২৮ বিটের সাহায্যে ২^১২৮ বা ৩.৪×১০^38 সংখ্যক অর্থাৎ অসংখ্য যন্ত্রপাতি ইন্টারনেটে সংযোগ করা যেতে পারে। IPV6 এর অ্যাড্রেস সাধারণত Hexadecimal ফরম্যাট এ লিখা হয় (মান ০০০০ থেকে FFFF এর মধ্যে হয়ে থাকে)। প্রতিটি ব্লক এর বাইনারি মান ১৬ বিটের হয়ে থাকে।
4. ডোমেইন নেইম (Domain)
আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর এই কষ্টকর বিষয়টি সহজতর করার জন্য ইন্টারনেটে Domain Name System (DNS) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ডোমেন নেইম হচ্ছে ইন্টারনেটে এক বা একাধিক আইপি অ্যাড্রেসকে সনাক্তকরণের জন্য একটি অদ্বিতীয় আলফানিউমেরিক (ক্যারেক্টর এবং নাম্বার সম্বলিত) ঠিকানা। যেমন shikkha.org একটি ডোমেইন নেইম। এই ডোমেইন নেইম ব্যবহার করে 172.168.10.1 আইপি নাম্বার কম্পিউটারকে খুঁজে বের করা যায়। অন্যভাবে বলা যায় যে, ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে উপস্থিতি কিংবা তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য একটি অদ্বিতীয় ঠিকানা প্রয়োজন যা ডোমেইন নেইম হিসাবে পরিচিত।
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেটে তাদের ওয়েবসাইট প্রদর্শন বা উপস্থিতির জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। তাছাড়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড (Brand) ইমেজ প্রতিষ্ঠা করা, অনলাইনে সর্বদা উপস্থিতি, ব্যবসায় প্রতিযোগীতামূলক সুবিধা অর্জন ইত্যাদি কাজের জন্য নিজস্ব হোম বা ওয়েব সাইট প্রকাশ করার জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা প্রয়োজন।
Internet Corporation for Assigned Names and Numbers (ICANN) নামক প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বের সকল আইপি অ্যাড্রেস ও ডোমেইন নেইম নিয়ন্ত্রণ করছে। ICANN এর একটি অলাভজনক অনুবিভাগ হলো Internet Assigned Numbers Authority (IANA) যা মূলতঃ ডোমেইন নেইম রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন দিয়ে থাকে। সারাবিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠান এই ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশনের সাথে জড়িত যা ICANN এর অনুমোদিত।
ডোমেইন নেইম এর বিভিন্ন অংশ থাকে। যথা- রুট লেভেল (root level), সেকেন্ড লেভেল (second level) ইত্যাদি। ডোমেইন নেইমের রুট লেভেল অংশ থেকে ডোমেইনের ধরন বুঝা যায়। যেমন-.com থাকলে কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠান, edu থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, net থাকলে নেটওয়ার্ক, .org থাকলে প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। ডোমেইন নেইমের দ্বিতীয় অংশে ঐ ডোমেইনের পরিচিতিমূলক নিজস্ব নাম থাকে। যেমন-শিক্ষা (shikkha), মাইক্রোসফট্ (microsoft), ওরাকল (oracle), ইন্টেল (intel) ইত্যাদি। পিরিয়ড (.) দিয়ে ডোমেইন নেইমের বিভিন্ন অংশ পৃথক করে রাখা হয়। নিচে ডোমেইন নেইমের বিভিন্ন অংশ দেখানো হলো।
ডোমেইন এর কিছু উদাহরণ-
.net
.com
.edu
.gov
.int
.mil
.org
.shop
.xyz
.ai
.online
5. ওয়েব অ্যাড্রেস (Web address)
প্রতিটি ওয়েব সাইটের একটি সুনির্দিষ্ট ও অদ্বিতীয় ঠিকানা রয়েছে যার সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থেকে যে কোন জায়গা থেকে ঐ ওয়েব সাইটের পেইজগুলোকে ওয়েব ব্রাউজারে দেখা বা খুজে বের করা যায়: সেই ঠিকানাকে ওয়েব অ্যাড্রেস বলে। যেমন- http://www.shikkha.org/main.htm। প্রতিটি ওয়েব অ্যাড্রেসের পেছনে একটি আইপি অ্যাড্রেস কাজ করে। ইন্টারনেটে যখন কোন ওয়েব অ্যাড্রেস লিখে এন্টার প্রেস করা হয় তখন DNS-এর মাধ্যমে তা আইপি অ্যাড্রেসে রূপান্তরিত হয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট কম্পিউটারকে খুঁজে পায়। মূলত ওয়েব অ্যাড্রেস ডোমেইনের অন্তর্ভূক্ত একটি কম্পিউটারের পরিচয় বহন করে যা ওয়েব সার্ভিস প্রদান করে। ওয়েব পেইজ অ্যাড্রেসের বিভিন্ন অংশের নাম ও একটি নমুনা নিচে দেয়া হলো।
•প্রোটোকল (Protocol)
•হোস্ট নেইম বা কম্পিউটার নেইম (Host or computer name)
•ডিরেক্টরী পাথ (Directory path)
•ডকুমেন্ট নেইম (Document Name) ও
•এংকর নেইম (Anchor name - reference to a specifice port of a long document)
প্রোটোকলঃ
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও টেলিকমিউনিকেশনে ডেটা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত নিয়ম-নীতিকে প্রোটোকল বলে। এক এক ধরনের অবস্থাকে চিহ্নিত করার জন্য এক এক রকম প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়। http:// (hyper text transfer protocol), https://, Ghopr://, file://, flp://, mail to:, news:, telnet:// ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
হোস্ট নেইম বা কম্পিউটার নেইম (Host or computer name):
ডোমেইন-এর আওতাভুক্ত কোন কম্পিউটারকে নির্দেশ করার জন্য যে নাম ব্যবহার করা হয় তা হোস্ট নেইম হিসেবে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে এ হোস্ট নেইমের একটি অংশ হচ্ছে ডোমেইন নেইম। একটি ওয়েব সার্ভারে বিভিন্ন হোস্ট নেইম রিসোর্স ভাগাভাগি করে অবস্থান করে।
ডিরেক্টরী পাথ (Directory path)ঃ
হোস্ট কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ফাইলের পাথ।
ডকুমেন্ট নেইম (Document Name):
হোস্ট কম্পিউটারের নির্দিষ্ট ফাইলের নাম।
6. ওয়েব সার্ভার
ওয়েব সার্ভার এক বিশেষ ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার যা এক সাথে অনেক ব্যবহারকারী বা ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করতে পারে। যেমন-বাংলাদেশ সরকারের সকল ধরনের ফরম forms.gov.bd অ্যাড্রেসে পাওয়া যায়। জনগণের সুবিধার্থে একটি ওয়েব এনাবেল্ড ডেটাবেজে বাংলাদেশ সরকারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ফরম সংরক্ষিত আছে যা ইন্টারনেটে যে কেউ ঐ ঠিকানা থেকে অ্যাকসেস করতে পারে।
7. ওয়েব ক্লাইন্ট (Web Client):
ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে কোন ব্যবহারকারী বা ক্লায়েন্ট সাধারণত TCP/IP প্রোটোকল ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভারের কাছে কোন উপাত্ত বা তথ্য চেয়ে অনুরোধ (request) পাঠায়। ক্লায়েন্টের অনুরোধগুলো সাধারণত ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং অনুরোধের ফলাফল ওয়েব সার্ভার থেকে প্রাপ্ত হয় যা সাধারণত ওয়েব ব্রাউজারেই প্রদর্শিত হয়। TCP/IP প্রোটোকল এক ধরনের কমিউনিকেশন প্রোটোকল যা ইন্টারনেটে ব্যবহার করা হয়।
8. ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser)
ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ ইন্টারনেট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত সকল কম্পিউটারগুলোতে যে সকল ইনফরমেশন রয়েছে তা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page বা World Wide Web-WWW প্রদর্শনের কাজ করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ওয়েব সার্ভারে রাখা পরস্পরে সংযোগযোগ্য Web page বা WWW পরিদর্শন করাকে Web Browsing বলে। Web Browsing করে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে নিয়ে আসা যায়। Web Browsing করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার রয়েছে। এই সকল ওয়েব ব্রাউজার সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত ওয়েব সার্ভার কম্পিউটারগুলোতে যে সকল ওয়েব পেইজ (Web page) সংরক্ষিত রয়েছে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে।
9.সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine)
সার্চ ইঞ্জিন একটি সফটওয়্যার টুল যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে ইনফরমেশন খুঁজে বের করে। যেমন- Google, Yahoo, Bing, MSN, পিপীলিকা ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?
প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের কাজ করার নিজস্ব ধরন রয়েছে। তবে প্রায় সব সার্চ ইঞ্জিনই তাদের কর্মপদ্ধতির জন্য একই উপকরণ ব্যবহার করে। মূলত ৩ টি প্রধান সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন সমূহ তাদের কর্মকান্ড সম্পন্ন করে থাকে। সফটওয়্যারগুলো হলো-
১। ওয়েব ক্রোলার (Web Crawler) বা স্পাইডার সফটওয়্যার (Spider Software)
২। ইনডেক্স সফটওয়্যার (Index Software)
৩। কুয়েরি সফটওয়্যার (Query Software)
ওয়েব ক্রোলার (Web Crawler) বা স্পাইডার সফটওয়্যার (Spider Software):
ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার সফটওয়্যার এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে এবং নতুন নতুন তথ্য তার ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে এবং সাজিয়ে (Indexing) রাখে। গুগলের ক্রোলার (Crawler) সফটওয়্যারটি "Google Bot" নামে পরিচিত। Google Bot নির্বিচ্ছিন্ন ভাবে ইন্টারনেটে বিচরণ করে বেড়ায় এবং যখনই নতুন কোন ওয়বেসাইট বা নতুন তথ্যের সন্ধান পায়, এটি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখে। ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার সফটওয়্যারকে অনেকে "সার্চ বট" বা "ইন্টারনেট বট"ও বলে থাকে। সাধারণভাবে বলা হয়, স্পাইডার সফটওয়্যার ওয়েবে ভেসে বেড়ায় এবং নতুন নতুন ওয়েব পেইজের সন্ধান করে এবং তা তার নির্দিষ্ট ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে।
ইনডেক্স সফটওয়্যার (Index Software):
ইনডেক্স সফটওয়্যার এর প্রধান কাজ হল একটি ওয়েব সাইট এর সকল ডেটা ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার থেকে গ্রহণ করে তা সার্চ ইঞ্জিন এ সংরক্ষণ করা বা ক্যাচ ধরে রাখা। আসলে ইনডেক্স সফটওয়্যার ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার সফটওয়্যার এর সংগৃহীত ডেটা এনালাইজ বা বিশ্লেষণ করে। ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার সফটওয়্যার যখন অনুরোধ করে, ইনডেক্স সফটওয়্যার তখন তা এনালাইজ করে। এখানে ভিন্ন ভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ভিন্ন রকম অ্যালগোরিদমের সাহায্যে কাজ করে।
কুয়েরি সফটওয়্যার (Query Software):
সার্চ ইঞ্জিনে যখন কোন কিছু লিখা হয় কুয়েরি সফটওয়্যার তখন সেটাকেই নিয়ে কাজ করে থাকে। কুয়েরি সফটওয়্যার ইনডেক্স সফটওয়্যার থেকে ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে বেশি সম্পর্কযুক্তগুলোকে প্রকাশ করে। অর্থাৎ প্রথমে ওয়েব ক্রোলার বা স্প্যাইডার সফটওয়্যার ওয়েব পেইজের সকল তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই বাছাই করার জন্য ইনডেক্স সফটওয়্যারের কাছে পাঠায় এবং ইনডেক্স সফটওয়্যার তা এন্যালাইজ করে লিস্টিং করে এবং কুয়েরি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন অনুসারে তা ভিজিটরের কাছে প্রদর্শন করে।
Robots.txt হচ্ছে ওয়েব সাইটের এমন একটি ফাইল যা সার্চ ইঞ্জিনকে বলে দেয় যে ওয়েব ক্রোলার বা স্পাইডার কোন ওয়েব পেইজগুলো ক্রোল করবে অথবা কোন ওয়েব পেইজগুলো ক্রোল করবে না। একটি সাইটে এমন কিছু পৃষ্ঠা থাকতে পারে যা ব্যবহারকারী ও সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের কাছে অপ্রয়োজনীয়, সে ক্ষেত্রে এই ফাইলটি হচ্ছে একটি কার্যকরী সমাধান। এই ফাইলের মধ্যে ঐ সকল ফাইলের নাম উল্লেখ করা হয় যা সার্চ ইঞ্জিন খুঁজবে না। Google Webmaster Tools এবং FTP ব্যবহার করে এই কাজটি সুসম্পন্ন করা হয়। Robots.txt ফাইলটি ওয়েব সাইটের রুট বা মূল ফোল্ডারে সংরক্ষণ করতে হয়।