লজিক গেইট (Logic Gate)
বুলিয়ান অ্যালজেবরার ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ব্যবহার করা হয়। এ সকল ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক সার্কিটকে লজিক গেইট বলে। গেইট হচেছ ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যা এক বা একাধিক ইনপুট গ্রহণ করে একটিমাত্র আউটপুট প্রদান করে। অন্যভাবে বলা যায় যে, যে সকল ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যুক্তিভিত্তিক সংকেতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে সে সকল সার্কিটকে লজিক গেইট বলে।
এখানে উল্লেখ্য, ডিজিটাল সিস্টেমে বাইনারি ০ বা ১ প্রকৃতপক্ষে ০ বা ১ ভোল্টেজকে প্রকাশ করে না। কোন নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ভোল্টেজের লেবেলকে প্রকাশ করে। ভোল্টেজ লেবেল ০ থেকে ০.৮ ভোল্ট হলে লজিক ০ এবং ভোল্টেজ লেবেল ২ থেকে ৫ ভোল্ট হয় তাকে লজিক ১ ধরা হয়। এই লজিক ০ এবং লজিক ১ এর উপর ভিত্তি করেই বুলিয়ান ।
YOU HAVE ANY QUESTION? YOU CAN ASK VIA CONTACT US FORM OR COMMENT HERE!
লজিক গেইট তিন প্রকার, যথা-
১। মৌলিক গেইট
২। সার্বজনীন গেইট
৩। যৌগিক গেইট
১। মৌলিক গেইট তিন প্রকার :-
১। অর (OR) গেইট
২। অ্যান্ড (AND) গেইট
৩। নট (NOT) গেইট।
২। সার্বজনীন গেইট তিন প্রকার:-
১। নর (NOR) গেইট।
২। ন্যান্ড (NAND) গেইট।
৩। যৌগিক গেইট তিন প্রকার:-
১। (X-OR) গেইট।
২। (X-NOR) গেইট।
মৌলিক গেইট:-
১। OR Gate-
২। AND Gate -
অ্যান্ড গেইটে দুই বা দুয়ের অধিক ইনপুট এবং একটি আউটপুট থাকে। অ্যান্ড গেইটের সকল ইনপুট ১ হলেই কেবলমাত্র আউটপুট ১ হবে অন্যথায় আউটপুট ০ হবে।
৩। NOT Gate-
সার্বজনীন গেইট তিন প্রকার:-
১। NOR Gate-
২। NAND Gate-
যৌগিক গেইট তিন প্রকার:-
১। X-OR Gate -
এক্স-অর একটি বহুল ব্যবহৃত লজিক সার্কিট। মৌলিক গেইট দিয়ে এই সার্কিট তৈরি করা গেলেও অ্যান্ড, অর, নট, ন্যান্ড ও নর গেইটের ন্যায় এটি একীভূত সার্কিট আকারে পাওয়া যায়। এক্স-অর গেইটের ইনপুটে বেজোড় সংখ্যক ১ হলে আউটপুট ১ হয়। দুটি বিটের অবস্থা তুলনা করার জন্য এই গেইট ব্যবহার করা হয়। ২ ইনপুট এক্স-অর গেইটের ক্ষেত্রে ইনপুট যদি অসমান হয় তাহলে আউটপুট ১ হয়।
২। X-NOR Gate-
এক্স-অর গেইটের আউটপুটকে নট গেইট দিয়ে প্রবাহিত করলে এক্স-নর গেইট পাওয়া যায়। ২ ইনপুট এক্স-নর গেইটের ক্ষেত্রে ইনপুট দুটি সমান হলে আউটপুট ১ হয়।