যোগাযোগ (Communication)
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দ্রুততম যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যম। সারা বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির ফলে মানুষ মূহুর্তের মধ্যেই টেলিফোন, মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে যোগাযোগের জন্য অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে, তার মধ্যে নিম্নে কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যমের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো-
ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic Mail)
সনাতন ডাক ব্যবস্থার পরিবর্তে মানুষ এখন ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। ডিজিটাল ডাক ব্যবস্থার অন্যতম একটি উদাহরণ হলো ইলেক্ট্রনিক মেইল যাকে সংক্ষেপে ই-মেইল বলা হয়। ইহা একটি আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিক যোগাযোগ ও বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যম। ই-মেইলের মাধ্যমে প্রেরিত তথ্যে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হয়। প্রেরিত তথ্য প্রাপকের অনুপস্থিতেই কম্পিউটার টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাপকের ডিস্কে জমা হয়। যোগাযোগের জন্য ই-মেইল এমন একটি ডাক ব্যবস্থা যা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে গঠিত এবং ইহা বিদ্যুৎ গতিতে নির্ভুলভাবে
তথ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম। বর্তমানে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোনের সাহায্যে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যেকোন জায়গা থেকেই ই-মেইল করা যায় বা ই-মেইল রিসিভ করা যায়।
টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferancing)
টেলিকনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সেমিনার বা দলবদ্ধভাবে যোগাযোগ করা যায়। টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় টেলিকনফারেন্সিং। বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে যেকোন ব্যক্তিই টেলিফোন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স করতে পারে। এই ব্যবস্থায় সভায় অংশগ্রহণকারীরা কী বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন-পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স এবং রিড অনলি কনফারেন্স। পাবলিক কনফারেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেহ এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারে। ক্লোজড কনফারেন্স সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা যায়। টেলিকনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ আজ দূরে অবস্থান করেও একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারছে।
ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferancing)
টেলিকনফারেন্সিং এর মতোই ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা কথোপকথন করতে পারে। অধিকন্তু ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় মনিটর বা পর্দায় অংশগ্রহণকারীরা পরষ্পরের সম্মুখীন হয়ে একে অন্যকে দেখে কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে। এটি একটি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বা এক দেশ হতে অন্য দেশে যে কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং করতে পারে। আমাদের দেশের লোকজন এখন স্কাইপি বা ইয়াহু মেসেঞ্জার ব্যবহার করে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করে থাকেন।