কমিউনিকেশন সিস্টেম (Communication)
ডেটা কমিউনিকেশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার হতে কম্পিউটারে অথবা কম্পিউটার ও অন্য কোন মাধ্যমে ডেটা ও তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব। এই আদান প্রদানের জন্য বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মাধ্যম যেমন-টেলিফোন লাইন, মাইক্রোওয়েভ, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে অ্যানালগ (Analog Signal) সংকেত আদান-প্রদান হয়। কম্পিউটারে প্রসেসিং করার জন্য ডেটাকে ডিজিটাল সংকেত (Digital Signal) এ রূপান্তর করা হয়। কাজেই ডেটা কমিউনিকেশনের জন্য ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে এবং অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করা প্রয়োজন।
মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে পরিণত করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট প্রেরণ করে। গ্রাহক কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সংকেতকে আবার ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করে তা কম্পিউটারের ব্যবহারোপযোগী করে। প্রেরক ও গ্রাহক উভয় প্রান্তেই মডেম ব্যবহার করা হয়। ফলে ডেটা ও তথ্য আদান-প্রদানে কোন সমস্যা হয় না।
ডেটা কমিউনিকেশনের ধারণা:
কম্পিউটার কিংবা অন্য কোন যন্ত্রের মাধ্যমে ডেটাকে একস্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াই হচ্ছে ডেটা কমিউনিকেশন। এই প্রক্রিয়ায় দুটি পক্ষেরে মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে।
ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান:
কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একস্থান হতে অন্যস্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা বা তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব। এই যোগাযোগ প্রক্রিয়ার পাঁচটি মৌলিক উপাদান হলো-
১। উৎস (Source)
২। প্রেরক (Transmitter)
৩। কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম (Medium)
৪। গ্রাহক বা প্রাপক (Receiver) ও
৫। গন্তব্য (Destination)।