ব্যবসা-বাণিজ্য (Business)
প্রযুক্তির কল্যাণে এখন গড়ে উঠেছে আধুনিক ব্যবসা বাণিজ্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া আজকাল ব্যাংক, বীমা, ক্রেডিট কোম্পানি, পরিবহন এবং উন্নত বিশ্বের সাধারণ কেনাকাটা সহ অনেক কর্মকান্ডই অচল। ব্যবসা বাণিজ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে; বাস্তবায়িত হচ্ছে ই- কমার্স। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকান্ড প্রায় অচল, বিশেষতঃ উন্নত বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অসম্ভব। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য দ্রুত সংবাদ আদান প্রদান ও তথ্য যোগাযোগ, টেলিফোন, ফ্যাক্স, টেলিভিশন, টেলিপ্রিন্টার, কম্পিউটার বুলেটিন বোর্ড, ইলেকট্রনিক মেইল, ওয়েব সাইট এবং ইন্টারনেট ইত্যাদি অত্যন্ত জরুরি। এক কথায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার ব্যতীত আধুনিক ব্যবসা ও আমদানি রপ্তানিতে উন্নয়ন সম্ভব নয়। ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মধ্যে বিস্তৃত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনকে ই-কমার্স বলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি ইত্যাদি বস্তুগত পণ্য বিক্রয়ের বিষয়টি সকলের দৃষ্টি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে। বর্তমানে ই-কমার্স প্রযুক্তির পণ্যের মধ্যে মানুষের
প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়োজনীয় সকল পণ্যই যোগ হয়েছে। তাছাড়াও অনেক অদৃশ্য প্রকৃতির সেবা যেমন: ভ্রমণ সংক্রান্ত সেবা, সফটওয়্যার, এন্টারটেইনমেন্ট, ব্যাংকিং, ইন্স্যুরেন্স, ইনফরমেশন সার্ভিস, আইনগত পরামর্শ, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিক্ষা, গবেষণা এবং সরকারি সার্ভিস ইত্যাদিও ই-কমার্সের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। এক কথায় বলা যায় যে, আধুনিক ডেটা প্রসেসিং এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিশেষতঃ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা মার্কেটিং, বিক্রয়, ডেলিভারী, ব্যবসা সংক্রান্ত লেন-দেন ইত্যাদি সকল কিছুই ই-কমার্স এর অর্ন্তভূক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ই-ট্রান্সজেকশন আইন অনুমোদন করেছেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও ই-ট্রান্সজেকশন অনুমোদন করেছেন। ফলে বাংলাদেশে ই-কমার্স এবং ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন প্রচুর প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স বা ই-বিজনেস পদ্ধতি চালু করেছে। যার ফলশ্রুতিতে মানুষ ঘরে বসেই কেনাকাটা করতে পারছে। এতে করে শ্রম, অর্থ এবং সময় সবই সাশ্রয় হচ্ছে।
E-commerce:?
Outsourcing:?
freelancing:?